৮ নভেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশে থাকা ওবায়দুল কাদের এখন কোথায়?
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সাবেক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এখন কোথায় আছেন, তা নিয়ে চাঞ্চল্যকর প্রশ্ন উঠেছে। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল জানতে চেয়েছে, কীভাবে তিনি দেশ ছেড়েছেন। এ বিষয়ে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি)-কে ১৫ দিনের মধ্যে ব্যাখ্যা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ওবায়দুল কাদের এর সাথে কী ঘটেছিল?
মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে “গণহত্যাসহ মানবতাবিরোধী অপরাধ” মামলার শুনানি হয়। চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলা হয়েছে— ওবায়দুল কাদের গত তিন মাস বাংলাদেশেই ছিলেন। তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা থাকা সত্ত্বেও কেন তাকে গ্রেপ্তার করা হয়নি এবং কীভাবে তিনি দেশের সীমান্ত পার হলেন, সে বিষয়ে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে।
তিনি আরও জানান, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যদি আদালতের নির্দেশনা মেনে না চলে এবং কোনো আসামিকে পালাতে সাহায্য করে, তাহলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ওবায়দুল কাদের এর অবস্থান নিয়ে দৈনিক মানবজমিনের প্রতিবেদন
এই ঘটনা আরও আলোচনায় আসে দৈনিক মানবজমিনের প্রতিবেদন প্রকাশের পর। প্রতিবেদনে বলা হয়, সরকার পতনের পর তিন মাস ওবায়দুল কাদের বাংলাদেশে ছিলেন। তবে গত ৮ নভেম্বর তিনি শিলং হয়ে ভারতের কলকাতায় পৌঁছান।
ওবায়দুল কাদের এখন কোথায়?
৮ নভেম্বর তিনি শিলং হয়ে ভারতের কলকাতায় পৌঁছানোর পর থেকে ওবায়দুল কাদেরের বর্তমান অবস্থান সম্পর্কে নিশ্চিত তথ্য এখনো পাওয়া যায়নি। তবে ধারণা করা হচ্ছে, তিনি এখন ভারতের কলকাতায় অবস্থান করছেন। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতায় তার অবস্থান নিশ্চিত হওয়ার চেষ্টা চলছে।
ওবায়দুল কাদেরের বর্তমান অবস্থান কার সাহায্যে?
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানের মামলার আসামি কীভাবে নিরাপদে দেশ ছেড়ে যেতে সক্ষম হলেন, তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। এটি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভূমিকা এবং সীমান্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থার ত্রুটি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে।
আইন অনুযায়ী, কোনো আসামিকে পালাতে সাহায্য করা বা তার অবস্থান গোপন রাখার চেষ্টার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে। এ কারণে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে পুলিশের মহাপরিদর্শকের ব্যাখ্যা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
উপসংহার
ওবায়দুল কাদের এখন কোথায়—এই প্রশ্নের উত্তর জানতে দেশবাসী অপেক্ষায় আছে। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরবর্তী পদক্ষেপই তার অবস্থান সম্পর্কে সঠিক তথ্য তুলে ধরবে। এই ঘটনার যথাযথ তদন্তের মাধ্যমে দায়ী ব্যক্তিদের চিহ্নিত করা এবং ভবিষ্যতে এমন পরিস্থিতি প্রতিরোধ করা জরুরি।
আপডেট পেতে আমাদের সাইট নিয়মিত ভিজিট করুন। বাংলাদেশের গণমাধ্যমে ভুয়া খবর কতটুকু? অবাক হবেন পরিসংখ্যানে